শেরপুরে সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর
শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে দাদন ব্যবসায়ী লোকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর সহ ৯ জনকে কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্য এমন নগ্ন হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত রাত (২৬ এপ্রিল) শেরপুর পৌরসভাধীন পশ্চিমশেরী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের মধ্যে মহিলা সহ তিনজন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত মোঃ ছালামত মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০/৭০ ব্যক্তির নামে শেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী এবং বিবাদীর পাশাপাশি মহল্লার বাসিন্দা। পশ্চিম শেরীর বাসিন্দা মোঃ সাজু মিয়া চাপাতলী দক্ষিণপাড়া (পাগলবাড়ী) এলাকার দাদন ব্যবসায়ী মোঃ ডালিম মিয়ার (৪৫) কাছ সুদে ১০ হাজার টাকা নেয়। এরপর সেই টাকার বিপরীতে প্রায় তিনগুণ টাকা পরিশোধ করার পরও আরো ৯ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন ডালিম মিয়া। এবিষয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে গতরাতে বিবাদি দাদন ব্যবসায়ী ডালিমের শতাধিক লোক মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতে পশ্চিম শেরী মহল্লায় বসবাসরত সাজু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এবং পার্শ্ববর্তী তার শ্বশুর ও আত্মিয়সহ তিনটি বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ৫ টি টিনের ঘর কুপিয়ে এবং ভাংচুর করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
এ সময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে নারী সহ অন্তত ৯ জন গুরুতর জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজন এখনো শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু নাইম মুঠোফোনে জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়িঘর ভাঙচুর, তছনছ ও বয়োবৃদ্ধ মানুষকে আহত করার ঘটনাটি খুবই অমানবিক। আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক মুঠোফোনে জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।