বুধবার, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

শেরপুরে কুপিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে সদরের সাদিয়া খাতুন (১৩) নামের এক বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে বাবা জমাদার মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে মা মারুফা বেগম। অভিযোগ রয়েছে শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের দশানিপাড়ার কোমর শেকের ছেলে জমাদার মিয়া তার সৎভাইদের ফাঁসানোর জন্যই নিজ প্রতিবন্ধী কন্যাকে দিনের বেলায় কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের দশানীপাড়ার জমাদার মিয়া এলাকার চিহ্নিত জুয়ারী। পারবারিক একখন্ড জমি নিয়ে তার সৎ ভাই আব্দুল আজিজ ও আব্দুল হালিমের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিক বার ঝগড়া ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরই জের ধরে সৎভাইদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই নিজ মেয়েকে হত্যার ঘটনাঘটায়। ঘটনার দিন ৬ জানুয়ারি সকালের নাস্তা খেয়ে মেয়ে সাদিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পয়স্তীরচর এলাকার সবজির মাঠে যায় জমাদার মিয়া। মেয়ের হাতেই দা নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে কামারেরচর বাজারের হারুন মিয়ার হোটেলে সাদিয়াকে সিংগারা খাওয়ায় জমাদার মিয়া। এর কিছুক্ষন পরেই পয়েস্তিরচর সবজির ক্ষেত থেকে কিশোরীটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে জমাদার মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে হন্নে হয়ে খোঁজছে পুলিশ। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে কামারেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান দুলাল মাষ্টার বলেন, এটা একটা জঘন্য অপরাধ। নিজের ভাইদের ফাঁসানোর জন্যই এমন কাজ করেছে জমাদার। সে জুয়া খেলে সব শেষ করে এখন ভাইদের সম্পদ নিয়ে বিরোধ করে আসছে। ভাইদের ফাঁসানোর জন্য একটা প্রতিবন্ধী নিরীহ মেয়েকে খুন করে। কামারেরচর বাজারের হোটেল মালিক হারুন অর রশীদ বলেন, আমার হোটেলে মেয়েটিকে সিংগারা খাওয়ায় জমাদার মিয়া। এসময় মেয়েটির হাতে একটা দা ছিলো। এরপর তারা মাঠের দিকে চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দেখেছি প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে নিয়ে এই বন্ধে (মাঠে) আসে জমাদার মিয়া। এসময় মেয়েডার হাতে দাও দেখছি। এরপরই মেয়েডার কুপাইয়া মাইরা ফালায়। উপায়ন্তর না দেখে এ ঘটনায় সাদিয়ার মা মারুফা বেগম বাদী হয়ে জমাদার মিয়াকে প্রধান আসামি ও আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক বিন হাসান বলেন, এ ঘটনায় জমাদার মিয়াসহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়