সংবাদের আলো ডেস্ক:আওয়ামী লীগ দেশটাকে ভারত বানিয়ে রেখেছিলো, এবং শেখ হাসিনা ছিল ভারত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ শেখ হাসিনা যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল ভারত সরকার তাকে মুখ্যমন্ত্রী সম্মান করেছিল। তিনি আরো বলেন, ৫৩ বছরে বিভিন্ন দল ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে। কিন্ত আনা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চায় ইসলাম নামক এই গাছটা বটবৃক্ষর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে সংসদে যাক। তিনি বলেন,আওয়ামীলীগকে দালাল বলবো না, আওয়ামীলীগ ভারতেরই সরকার ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই শনিবার ( ২১ ডিসেম্বর) বিকেলে ৩ টায় লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, ভারত ১৬ ডিসেম্বর কে বিজয় দিবসকে মানে না, তারা তাদের বিজয় দাবি করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্য পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা যখন সংখ্যালঘুরাদের নিরাপত্তায় পাহারাদার ছিলাম তখন একটি দল দখল,চাদাবাজিতে ব্যস্ত ছিলো। বিএনপিকে ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন,আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা হয়তো ভুলে গেছে আওয়ামীলীগের জুলুম ও নির্যাতনের কথা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আজ বিএনপি অন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপির কত লোক সন্তন হারা হয়েছে,কত রক্ত ঝড়েছে আপনাদের কর্মীদের সেগুলো ভূলে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের পক্ষে লড়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলেও হুশিয়ারী দিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলে ভারতকে যা দিয়ে তা ভারত ভুলবে না। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন তিনি ভারতের কাছ থেকে কি নিয়ে এসেছে? আমরাই ভারতের প্রতিটি যড়ষন্ত্রের প্রতিবাদ করেছি।চরমনোই পীর বলেন, সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে যেভাবে আরামে বসবাস করে পাশের দেশ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা কী ভালো আছে? সারা দেশে হিন্দুদের জানমালে কোনো আঘাত না আসে, এ জন্য আমরা কাজ করেছিলাম। সর্বপ্রথম আমরাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছি। এটাই ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে।নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনওই পরগাছা হবো না। ক্ষমতায় গিয়ে আমাদের ব্যবহার করবে তা হবে না। দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সজাগ থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এম হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুফতী আব্দুর রহমান কাসেমী ও শাইখুল হাদীস মুফতী ফজলুল করীম শাহারিয়া।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.