বৃহস্পতিবার, ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

শিশু মাহিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে চার তরুণ

সংবাদের আলো ডেস্ক: পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ১০ বছরের শিশু তাসলিমা আক্তার মাহি। তবে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সে। ১০ দিন পর একটি পুকুরে পাওয়া যায় তাঁর অর্ধগলিত লাশ। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, চার তরুণ মিলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তাকে। এক আসামি স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাহি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তিন সহযোগীসহ এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আসামি মো. ইসমাইল বেপারী (২৪)। গত শনিবার বরিশাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামে।হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ মাহি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে। নিহত শিশুর বাবা মো. সবুজ সরদারের ভাষ্য, ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাশের বাড়ির এক মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তাঁর মেয়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। কোনো উপায় না পেয়ে ১৬ ডিসেম্বর গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। নিখোঁজের ১০ দিন পর ২৪ ডিসেম্বর সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের বাড়ির পুকুরে মাহির লাশ ভাসতে দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা থানায় খবর দিলে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময়ই পুলিশ ধারণা করেছিল, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।থানার এসআই মো. নজরুল ইসলামকে ‘ক্লুলেস’ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তদন্তের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। ইসমাইল ছাড়াও গ্রেপ্তার অন্য দুই তরুণ হলো– উপজেলার বাটাজোর গ্রামের মো. সাকিব খান (১৯) ও দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. লিটন সরদার (৩০)। গত শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছিল তাদের। এসআই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গোপন সোর্সের মাধ্যমে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতদের নাম জানতে পারেন তিনি। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আরেকজনের বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি ইসমাইল বেপারী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে বিচারকের সামনে মাহির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, জবানবন্দি অনুযায়ী শিশু মাহিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে চার তরুণ। পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমানের ভাষ্য, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত ও তাদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এখনই সবার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য অভিযান চলছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়