সংবাদের আলো ডেস্ক:লেবানন ও ইসরাইল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে একটি চুাক্ত ঘোষণা হতে পারে বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। চারটি সিনিয়র লেবানিজ সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিদ্যমান পরিকল্পনার অধীনে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্র জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যদিও আমরা এখনো কোনো চুক্তি করিনি, তবে আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছি। আমাদের দ্বিমতের জায়গাগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি করেছি, যদিও এখনও কিছু পদক্ষেপ বাকি রয়েছে, যেগুলোতে আরও কাছাকাছি আসতে হবে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সেগুলোও আমরা অর্জন করতে পারবো।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই শেষ করতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর উপস্থিতির অবসান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশ্চিমা কূটনীতিকের বরাতে বিবিসি বলেছে, এই চুক্তিতে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর খালি করা এলাকায় লেবাননের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন, একটি চুক্তি ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং আলোচনা সঠিক পথে চলছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। জেরুজালেম, ওয়াশিংটন ও বৈরুতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, যদিও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়নি। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে, তবে তেল আবিব যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মূল নীতিগুলোকে অনুমোদন করেছে। লেবাননের উপ-সংসদীয় স্পিকার এলিয়াস বউ সাআব জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতিতে এখন আর গুরুতর কোনো বাধা নেই। তবে ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটিকে ‘একটি গুরুতর ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ধ্বংস করার ‘একটি ঐতিহাসিক সুযোগ’। এর আগে মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.