সংবাদের আলো ডেস্ক: নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে দিনরাত এক করে ফেলে বাইডেন প্রশাসন। এমন যুদ্ধবিরতির খবরে লেবাননের স্বস্তি ফিরে এলেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েলিরা। যদিও লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কিছুক্ষণ আগেও বৈরুতে হামলা চালায় তেল আবিব। এবার লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে গেল মাস থেকেই বিভিন্ন দেশকে জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে আসছিল ইরান। অবশেষে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বাগত জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি বহাল থাকলে ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত এ যোদ্ধাগোষ্ঠীর মধ্যকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটবে। গত সেপ্টেম্বরে যুদ্ধটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এ সময় ইসরায়েল ব্যাপকহারে বোমা হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে।
যুদ্ধবিরতির শর্তানুসারে লেবানন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।এর আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেল আবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শুধু লেবাননই নয়, গাজায়ও যুদ্ধবিরতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে আসছে। কিন্তু ১৪ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধে ইরান সফল হয়নি। ইসরায়েল তার পশ্চিম মিত্রদের সহায়তায় গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ জিইয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ ইরানের। চলমান এই যুদ্ধে ৬০ হাজারের বেশি নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে বলেও দাবি করে তেহরান।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.