রয়েল দত্ত, রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি চারলেন মহাসড়কে রাউজান অংশের রোপন করা বিদেশী জাতের খেজুর গাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন ‘মানুষ যে’ নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।পানির সংকটে মৃত্যুর ঝঁকিতে থাকা প্রায় ছয়শত বেশি খেজুর গাছের পরিচর্যার কাজ শুরু করেন ৪০জন সদস্য। জানা যায়, মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা এই গাছ গুলো বাঁচাতে, দায়িত্ব নিতে চেয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত আবেদন করেন ‘মানুষ যে’ নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।এই আবেদনটি গ্রহণ করে সংগঠনটিকে পরিচর্যা ও রক্ষাবেক্ষনের অনুমতি প্রদান করেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। অনুমতি পেয়ে সংগঠনটির ৪০জন সদস্য পুরোদমে কাজ শুরু করেন। প্রথম ধাপে খেজুর গাছগুলো ডালপালা কাটা, আগাছা পরিস্কার ও গাছের গোড়ালীতে মাটি কোপিয়ে সার প্রদানের উপযোগি করতে দেখা যায়। এরপর নিয়মিত পানি সরবরাহ সেবা প্রদান করবে বলে জানান ‘মানুষ যে’ নামের সংগঠনটির সদস্যরা।মানুষ যে’ নামের সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তা মানবিক সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেন, হালদা ব্রিজ হতে রাবার বাগান পযর্ন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কের মাঝখান জুড়ে প্রায় ছয় শতাধিক খেজুর গাছ রয়েছে। সামান্য কিছু গাছ পানি ও পরিচর্যার অভাবে মৃত্যু হয়েছে। কেউ আন্তরিক ভাবে গাছগুলো বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছে না। আমাদের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বিনা পারিশ্রমিকে ৪০ জন যুবক এ গাছগুলো বাঁচাতে এগিয়ে এসেছি। আমরা সারা বছর এ গাছগুলোর পরিচর্যা ও রক্ষাণাবেক্ষণ করব। তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সার প্রয়োগে সহযোগিতা কামনা করেন।এ বিষয়ে রাউজান পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, সড়কে রোপন করা বিদেশী জাতের খেজুর গাছ বাঁচিয়ে রাখা দরকার। বর্তমানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় পানি ও অন্যান্য পরিচর্যার অভাবে গাছগুলো মৃত্যু হওয়ার পথে। একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গাছ গুলোর দায়িত্ব নিতে আমাকে একটি লিখিত আবেদন করছে। আমি আবেদনটি গ্রহণ করে রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছি। উল্লেখ্য যে,২০২২ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি চারলেন সড়কের রাউজান অংশে রোপন করা হয় বিদেশী জাতের খেজুর গাছ গুলো।