রয়েল দত্ত, রাউজান প্রতিনিধি: নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামমাহালদার পাড়া-মোকামীপাড়া-ছামিদর কোয়াং সংযোগ সড়কের একটি স্থানে গত ছয় মাস আগে ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির স্রোতে প্রায় ৪০০ মিটার অংশ ভেঙে জমির সঙ্গে মিশে গেছে। সড়কটির আরও অন্তত ২০০ মিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে ও একই অবস্থা হয়।এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এমনি হেঁটে চলাচল করতেও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।গত ছয়মাস গাছের গুড়ি এবং বাঁশের সাঁকো বানিয়ে সাত গ্রামের ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে চলাচল করলেও সড়ক সংস্কার করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বা স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ফলে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, নারী শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে আসা যাওয়া করছে এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,সড়কটির যে ৪০০ মিটার ধসে পড়েছে, তা মোকামীপাড়া অংশে। এর মধ্যে সড়কটির সামমাহালদার পাড়া, ছামিদর কোয়াং তিন গ্রামের আর পাঁচটি স্থানে সড়ক ধসে একেবারে পাশের জমির সঙ্গে মিশে গেছে, সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই।স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন,আমাদের দাবি সড়কটি ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু করে দুপাশে পাকা দেয়াল দিয়ে নির্মাণ করা হোক।স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বর্ষা এলেই ভাঙে এই সড়কটি। যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিবছরই এলাকার কিছু তরুণ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার করেন। অন্তত ১০ বছর ধরে এভাবে চলে আসছে গ্রামবাসির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার। বর্ষায় ভারি বৃষ্টি হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর পানি ৬ থেকে ৮ ফুট বেড়ে যায়। এ সময় স্রোতের তোড়ে সড়কটির বেহাল দশা হয়।মোকামীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁদের এই সড়ক দিয়ে প্রায় সাত গ্রামের ১০ হাজার মানুষের চলাচল রয়েছে। এলাকাবাসী সড়কটি টেকসই করে নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভাঙা সড়কের কারণে গ্রামবাসীকে বছরের প্রায় ছয় মাস অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে হয়।ছয় বছর ধরে সড়কটি সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের একজন স্থানীয় তরুণ এস এম কায়সার হামিদ। তিনি বলেন, তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ চাঁদা তুলে সড়কটি বারবার মেরামত করে আসছেন। তবে গ্রামটি নদীতীরবর্তী হওয়ায় বর্ষায় প্রায়ই নদীর পানি ঢুকে পড়ে সড়কটি ভেঙে যায়। নদীর তীরে বেড়িবাঁধ থাকলে এ সমস্যা থাকত না।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, আমরা বন্যার পর সড়কটি পরিদর্শন করেছি। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.