নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২১ জানুয়ারী) সকালে রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার শান্তি বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি সূত্রে জানা যায়, গত ২বছর আগে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের শান্তিবাাজার এলাকায় মাজেদ মেম্বার ও তার মামাতো ভাই শহিদুল জিবিএল-২ নামে ইট ভাটার ব্যবসা শুরু করে।
এক পর্যায়ে ব্যবসা পরিচালনা শহিদুল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে আঃ মাজেদ মেম্বার ৫০ লক্ষ টাকার হিসাব চাইতে গেলে তাদের মধ্যে দন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে ইটভাটা সমিতি ও পৌর মেয়রের চেষ্টায় শহিদুল ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাটা আঃ মাজেন মেম্বারের নিকট বিক্রি করে। কিন্তু তার এই আত্মসাৎ এর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় মাজেদের মামা ও শহিদুলের পিতা জয়নাল আবেদীন মাজেদ মেঘারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।মাজেদ মেম্বারের মানহানি করার জন্য তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ আবুল কালাম, আফতাব মেম্বার কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এবং মামলা হামলার হুমকি দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে ২৫ আগষ্ট/২০২२ তারিখে মাজেদ মেম্বারের পক্ষে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান একটি ১০৭ ধারায় মামলা করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩জানুয়ারী/২০২৩ তারিখে এলাকাবাসী আবু মুসা ও মশিউরের পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে আঃ মাজেদ মেম্বারের সমর্থকদের উপর হামলা, ঘরবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। পরে তারাই অনৈতিক কাজের অজুহাত এনে মাজেদ মেম্বারসহ ২২ জনের নামে মামলা করেন। যে মামলায় মাজেদ মেম্বার কারাগারে আছেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মাজেদের স্ত্রী এজমা বেগম, মেয়ে মুশফিকা, এলাকাবাসী মোসলেম, মশিউর, আতিক, শাহিনুর, লোকমান, মান্নান, নাজমা খাতুন, রফিকুল, জাহাঙ্গীর প্রমূখ। তারা বলেন, অন্যায় করে জয়নাল আবেদীন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার নিজস্ব লোক দিয়ে নিজেদের কিছু ঘর-বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামান্যতম ভেঙ্গে এর সম্পূর্ণ দায় মাজেদ ও তার সমর্থকদের উপর চাপিয়ে মিথ্যে মামলা করে। এলাকাবাসী দাবি আঃ মাজেদ একজন জনগনের ভোটে নির্বাচিত মেম্বার। আঃ মাজেদ মেম্বার ও তার সমর্থকদের উপর আনিত মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে। কু-চক্রি জয়নাল আবেদীন ও তার দূর্নীতিবাজ ছেলে শহিদুল হকের বিচারের দাবী জানান তারা।
এ ব্যপারে জয়নালের ছেলে শহিদুল বলেন, আমাদের একজন মেম্বারের দেয়া মিথ্যা মামলায় কারগারে রয়েছে। আমরা সত্যের উপর দাড়িয়ে রয়েছি।
বদরগঞ্জ থানার এসআই মকবুল হোসেন বলেন, মাজেদ মেম্বার ও জয়নাল ওনারা আত্বিয়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলা থানায় হয়েছে। দুগ্রুপের দুজন কারাগারে রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দিবো।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.