যে এক ভোট পেলে চেয়ারম্যান তার তো হানিমুনে যাওয়া উচিৎ – চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বদিউজ্জান ফকির অন্য প্রার্থীর উদ্দেশ্য বলেন, যে এক ভোট পেলে চেয়ারম্যান হবে তার তো হানিমুন যাওয়া উচিৎ। সে কেন জনগণের কাছে ভোট চায়। নির্বাচনের দিন হামিমুন শেষ করে এসে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ থেকে ডিগলার নিয়ে যাবে। শনিবার বিকালে দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে দৌলতপুর কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে নির্বাচনী বিশাল জনসভায় এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এ উপজেলা নির্বাচনে যে এক ভোট বেশি পাবে সেই নির্বাচিত হবে।
এ সব বুলি উড়িয়ে চেয়ারম্যান হওয়া যাবে না। আমরা রাজনীতি করি মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য। আমি এই জনসভায় বেশি কথা বলবো না দুই তিন টা কথা বলেই বক্তব্য শেষ করবো। গত ১ মে আপনারা জানেন আমি মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলামসহ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে সহ ৪ জনের উপর হামলা করেন। হামলা করার পরে আমি বেলকুচি থানায় আশ্চয় নিলে সেখানেও ওই সন্ত্রাসী বাহিনী গিয়ে আমাদের উপর আবার হামলা করেন। ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আগেই বেলকুচিতে তারা সন্ত্রাসী কাযক্রম চালাচ্ছে। এই সব সন্ত্রাসীদের আপনারা ভোট দেবেন না। আপনাদের প্রতি আমার আস্থা আছে আপনারা আমার পাশে থাকবেন এবং আমার মোটরসাইকেল প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায়।
উক্ত জনসভায় আমিনুল ইসলাম (সত্তর) সভাপতিত্বে বক্তব্য আরও রাখেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম ফকির, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুদ ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হামিদ আকন্দ, সাবেক ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক ভাষানী, ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।