সংবাদের আলো ডেস্ক:লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সম্মতির পর লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। তবে এরপরও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে উভয়পক্ষ, এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার (০২ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরে লেবাননে পৃথক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা রয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে দুজন নিহত হন। এর জবাবে ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা সোমবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর তা লঙ্ঘনের জবাবে বিতর্কিত এলাকা কাফার চৌবা পাহাড়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। এলাকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে লেবানন। এ হামলাকে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাথমিক প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, বুধবার (২৮ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আসছে ইসরায়েল। তারা লেবাননজুড়ে মারাত্মক বিমান হামলা, দক্ষিণে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালানো এবং রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের আকাশসীমায় ড্রোন ও জেট বিমান পরিচালনা করে আসছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা সতর্কতামূলকভাবে এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলকে চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে অনুরোধ জানালেও তা সফল হয়নি। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর এমন পদক্ষেপে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে ইসরায়েল। তারা এর কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি হিসেবে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
চুক্তি অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাবে। এ ছাড়া তারা নতুন করে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা নিজেদের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না। নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.