মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

যমুনা রেলসেতুতে ১২০ কি.মি গতিতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন

সংবাদের আলো ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে সদ্য নির্মিত ‘যমুনা রেল সেতুতে’ অফিসিয়ালিভাবে পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল) ট্রেন চলাচল করছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় যমুনা রেল সেতু পূর্ব টাঙ্গাইল প্রান্ত এবং অপরদিকে সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে একসঙ্গে একজোড়া ট্রায়াল ট্রেন চলাচল শুরু করে। পরে বিকাল পর্যন্ত একাধিবার লোকোমোটিভ ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সম্পন্ন করা হয়। এই পরীক্ষামূলক চলাচল সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলানো হয়েছিল। এ বিষয়ে যমুনা রেল সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, অফিসিয়ালিভাবে রবিবার সকাল ৯টা থেকে সেতু পূর্ব এবং সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে একযোগে দু’টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে। যা সোমবার সমাপ্ত হবে। তিনি আরও জানান, দু’দিন পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হলে সেই রিপোর্ট রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর রেল মন্ত্রণালয় উদ্বোধনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে যমুনা রেল সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়