যমুনায় বন্যার পানি কমছে !
ইয়াহিয়া খান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানি ১১ সেন্টিমিটার কমে সমতল থেকে ১৩ দশমিক ০১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যার পানি এখনও বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর রয়েছে (বিপদ সীমা ১২.৯০ মিটার)।
অপরদিকে চৌহালী উপজেলার বন্যার পানি সমতল থেকে ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ১৪.৮০ মিটার)। এদিকে বন্যার পানি কমতে থাকলেও চৌহালী ও শাহজাদপুরে বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ কমেনি।
এছাড়া চৌহালী উপজেলার ২ হাজার ১৯০টি পরিবারের সাড়ে ৮ হাজার মানুষ এখনও পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ গ্রামের অর্ধশত বাড়িঘর ও ব্রাহ্মণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ বন্যার পানিতে ডুরে আছে।
শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া বাড়িঘরের মানুষ এখনও চৌকি উচু করে বসবাস করছে ও চোকির উপরে রান্না-খাওয়া সারছে। এ গ্রামের বন্যায় ডুবে যাওয়া বাড়িঘর গবাদিপশু নিয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছে।
এছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু গ্রাম ও রাস্তাঘাট এখনও বন্যা কবলিত হয়ে আছে। নিচু রাস্তাঘট বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে খুকনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁন জানান, বন্যার শুরু থেকে তার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। গত ২ মাসে অন্তত ২ শতাধিক বাড়িঘর যমুনায় বিলিন হয়ে গেছে। এখন বন্যার পানিতে ডুবছে অর্ধশত পরিবার। এসব অসহায় মানুষ চরম কষ্টে জীবন যাপন করছে।
শাহজাদপুর উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম জানান, যমুনার ভাঙ্গণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলায় পাঠানো হয়েছে।
বরাদ্দ পাওয়া গেলে তা বিতরণ করা হবে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশাকরছি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।