বুধবার, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট প্রদানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আলোচিত মানদা কান্ত লাহিড়ী হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তের সঠিক  প্রতিবেদনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের পরিবারের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মানদা কান্ত লাহিড়ীর ভাতিজা তুষার লাহিড়ী। লিখিত বক্তব্যে তুষার লাহিড়ী বলেন, গত বছর ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গুদিবাড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার চাচা মানদা লাহিড়ীকে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে প্রতিবেশী মশিউর রহমান, আবির রহমান ও নিবিড় রহমান অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার চাচা মানদা কান্ত লাহিড়ী মারাত্মকভাবে আহত হলে আমরা উদ্ধার করে তাকে হসপিটালে ভর্তি করি। দীর্ঘ ১১ মাস চিকিৎসা পর আমার চাচা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তুষার লাহিড়ী আরও বলেন, বর্তমানের আসামি পক্ষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেছেন টাকা পয়সা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেবে। আমরা এখন ময়নাতদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদন নিয়ে শঙ্কিত  আছি। আমার চাচার হত্যাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। যেন সুষ্ঠু প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমার চাচার হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন নিশ্চিত হয়। প্রসঙ্গত, ১১ মাস আগে বাড়ির ওপরে আড্ডা দিতে ও অসংলগ্ন কথা বলতে নিষেধ করা এবং বড় চুল কাটতে বলেন মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ। এরপর এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ ওঠে মশিউর রহমান ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে দীর্ঘ ১১ মাস হলো অজ্ঞান অবস্থাতেই ছিলেন বৃদ্ধ মানুদাকান্ত। অবশেষে গত ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে মারধরের ঘটনায় মানুদাকান্ত লাহিড়ীর স্ত্রী সান্ত্বনা লাহিড়ী বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এখন মানুদাকান্তর মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করে এই মামলার সঙ্গে ৩০২ (হত্যাকাণ্ড) যোগ করার জন্য আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ময়নাতদন্তে যা পাওয়া যাবে তাই লিখে দেব। এখানে সঠিক রিপোর্ট না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়