প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ৫:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৭:০২ অপরাহ্ণ
মেঘনার জাহাজ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া আরও দুজনের মৃত্যু
সংবাদের আলো ডেস্ক: চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে পাঁচজনের মরদেহ এবং ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আহত ৩ জনের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। ফলে ওই জাহাজে থাকা মোট ৭ জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। কারও কারও ছিল গলাকাটা।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ) বিকেলে চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আনিসুর রহমান আরও দুজনের মৃত্যুর কথা জানান। এর আগে নৌ–পুলিশ জানিয়েছিল, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এম ভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী নৌযান থেকে আজ বেলা তিনটার পরে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরও তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, রোববার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা নৌযানটির চালক ও অন্যান্য কর্মীদের হত্যা করে। তবে নিহতদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন কাগজে লেখেন যে, তাঁর নাম জুয়েল। গলা আংশিক কাটা থাকায় তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
বিকেলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মহসিন উদ্দিন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যান। এর আগে নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পণ্যবাহী নৌযানটিতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা সন্দেহ করছেন, শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাঁরা আজ বেলা তিনটার দিকে নৌযানটির কাছে যান। সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে পাঁচটি মরদেহ পান। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, নৌযানটির মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.