মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মালয়েশিয়া থেকে ১৪ বছর প্রেম, নাটোরে এসে প্রেমিককে বিয়ে

ফজলে রাব্বি: প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে প্রেমিকা নাটোরে এসে বিয়ে করলেন নাটোরের প্রেমিক আনিছকে। দীর্ঘ ১৪ বছর প্রেমের পর অবশেষে মালয়েশিয়ান তরুণী সিটি হাসনা’র সঙ্গে নাটোরে যুবক আনিছুর রহমান আনিছ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। রবিবার নাটোর আদালত চত্ত¡রে কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় আইনজীবী গোলাম সারোয়ার স্বপন তাদের বিয়ের আইনগত কাজ সম্পন্ন করেন। এর আগে গত শনিবার সকালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ার ওই তরুণী প্রেমিকা সিটি হাসনা ও তার মা। আনিছ রহমান নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের জলিল রহমানের ছেলে। কনে সিটি হাসনা মালয়েশিয়ার একটি শহরের বাসিন্দা মশিন জাকরি’র মেয়ে। আনিছের পারিবারিক সুত্র জানায়, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে নাটোরের ছেলে আনিছুর রহমানের সাথে সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। কিন্তু ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশী যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে গত শনিবার ওই মালয়েশিয়ান তরুণী প্রেমিকা নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর গ্রামে প্রেমিক যুবক আনিছের বাড়িতে আসেন। তার মাকে সঙ্গে নিয়ে। প্রেমিক জামাই আনিছ রহমান বলেন, ২০০৭ সালে কাজের জন্য সে মালয়েশিয়া যান তিনি। সেখানে তার কোম্পানীর লিডার ছিলেন সিটি হাসনা। সেখান থেকেই তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পাঁচ বছর পর তাদের পারিবারিক ভাবে ইনগেজমেন্ট হয়। মালেশিয়ার আইন মেনে তাদের বিয়ে হয়না। এরপর সে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পরে আইনী জটিতলার শেষ করতে মেয়েকেই বাংলাদেশে আসতে হয়। এরপর সে বাংলাদেশে আসলে তারা পারিবারিক ভাবে আদালতে এসে বিয়ে করনে। তিনি তাদের দুজনের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। আনিছের বড় ভাই জানান, তার ভাই ১৪ বছর প‚র্বে মালয়েশিয়া যায়। সেখানে গিয়ে এই মেয়ের সাথে সম্পর্ক হয়। এরপর সে দেশে ফিরে এসে করোনার কারনে যেতে পারেনা। পরে সে প‚নরায় মালয়েশিয়া যায়। এরপর কাগজপত্র তৈরী করে মেয়েকে আসতে বলে। মেয়ে আসার পর তাদের বিয়ে হয়। জামাইয়ের ভাতিজা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, পরিবারের সবাই মিলে বিয়েতে অনেক আনন্দিত। তার চাচির সাথে তার মা এসেছে তারাও বেশ আনন্দিত। প্রতিবেশী কামরুজ্জামান বলেন, একজন প্রবাসী ভাই যে মালয়েশিয়া থাকতো। সেখানে সে একজন মালয়েশিয়ান মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে বাংলাদেশের তার প্রেমিকের জন্য। এটাতে তারাও অনেক আনন্দিত। বিয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন, ছেলে আনিছ মালয়েশিয়া চাকুরী করতে যান। সেখানে কাজ করা অবস্থায় তার লিডার মালয়েশিয়ান নাগরিক সিটি হাসনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়ের মা সহ মেয়ে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশে এসে দুই পক্ষের পরিবারের সম্মতিতে আদালতে হাজির হয়ে তারা তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন মোহরানায় বিয়ে করেন। বিয়ে পড়ানো কাজী আব্দুল মমিন বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক ছেলে ও মালয়েশিয়ান নাগরিক কণ্যা তারা দুজনই প্রাপ্ত বয়সী। তিনি ইসলামী আইন মোতাবেক সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে পড়ান।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়