সংবাদের আলো ডেস্ক: নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষে আগামী মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দীন ইসির সঙ্গে প্রথম সভায় বসেন। বৈঠকে চারটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়।পরে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক আগামী এক জানুয়ারি ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি। কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- নতুন বছরের হালনাগাদ দুই জানুয়ারি থেকে দুই মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো। বাদ পড়া এসব নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন- এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে যেসব ভোটার মারা গেছেনতাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তথ্য নেওয়া হবে। এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা, সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারবো।
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.