বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু

সংবাদের আলো ডেস্ক:আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সমসাময়িক কয়েকটি ইস্যু এদিন ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এসব প্রশ্নের জবাবও দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সরাসরি কোনো উত্তর অবশ্য দেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ভাগ্যকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র? জবাবে ম্যাথিও মিলার বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সংঘাত এবং এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে উদারতা দেখিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের যারা দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। ড. ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----