মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশিকায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ প্রবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহ আলমগীরের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। আজ রবিবার রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সামনে এক সমাবেশে তারা এই প্রতিবাদ জানান। সমাবেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গত ২৩শে অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহ আলমগীর স্বাক্ষরিত ‘নাম ও বয়স সংশোধন নির্দেশিকা-২০২৪ এর ৩(২) ধারায় “লিঙ্গ পরিবর্তনকৃত শিক্ষার্থীর নিজ নাম পরিবর্তন করা যাবে” অংশ সংযুক্ত করে মাদরাসায় ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামীতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। জিয়াউল হক বলেন, প্রত্যেকটি শিশু জন্মের সময় ছেলে অথবা মেয়ে হয়েই জন্ম নেয়। তাই পরবর্তীতে লিঙ্গ পরিবর্তনের আর কোন সুযোগ নেই। তবে সমকামী গোষ্ঠী লিঙ্গ পরিবর্তন নাম দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার রূপ ধারণ করে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশিকায় ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ শব্দদ্বয় সংযুক্ত করে সেই ট্রান্সজেন্ডার নামধারী সমকামীদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। মুহম্মদ জিয়াউল হক আরও বলেন, ট্রান্সজেন্ডার, সমকামীতা বা লিঙ্গ পরিবর্তনের মত বিষয়গুলো হচ্ছে পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের অপসংস্কৃতি, যার মাধ্যমে তারা অন্য জাতির সাংস্কৃতিক ভিত্তি ধ্বংস করে, নিজ আধিপত্য ও আগ্রাসন প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সেই অপসংস্কৃতির আমদানি দেশের জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহ আলমগীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মনস্তত্বে সেই অপসংস্কৃতির বীজ বপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, জনগণের তীব্র প্রতিবাদের কারণে গত সরকারও পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার শরীফার গল্প রাখতে পারেনি, বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলো। কিন্তু গত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রফেসর শাহ আলমগীর ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ এর নামে সেই নিষিদ্ধ ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামীতাকে ফিরিয়ে এনেছে। অবিলম্বে নির্দেশিকার ঐ বিতর্কিত অংশটি বাদ দিতে হবে এবং প্রফেসর শাহ আলমগীরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন শিশু জন্মের সময় লিঙ্গ প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুর প্রজনন অঙ্গের স্থানটি অস্পষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে অভিভাবক শিশুটির লিঙ্গ নির্ধারণেও ভুল করতে পারেন। তবে শিশুটি বয়ঃসন্ধিকালে উপনিত হলে শিশুটি ছেলে না মেয়ে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে কেউ কেউ মনে করতে পারেন, শিশুটির হয়ত লিঙ্গ পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে লিঙ্গ পরিবর্তন একটি অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব ধারণা, যা কখন সম্ভব নয়। এজন্য কোন শিশু অস্পষ্ট জননাঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে শিশুর প্রকৃত লিঙ্গ নির্ধারণ করা জরুরী। সমাবেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।