রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মদনে স্বাস্থ্য প্রশাসকের কান্ড খালিয়াজুড়ির সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করেন কেন্দুয়ায় !

                            মদনে স্বাস্থ্য প্রশাসকের কান্ড খালিয়াজুড়ির সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করেন কেন্দুয়ায় ! - সংবাদের আলো
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: গাড়িটি খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। কিন্তু সেই গাড়ি নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলায় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান।
অভিযোগ উঠেছে নিজ ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকাণ্ড করছেন তিনি।  অন্যদিনের মতো (১৫ আগষ্ট)  মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যান তিনি।
জানা গেছে, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ দেয় সরকার। বছরে ছয় থেকে সাত মাস খালিয়াজুড়ি উপজেলার সমস্ত রাস্তা পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। তাই খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। সেই সুযোগে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূরুল হুদা খান খালিয়াজুড়ির গাড়িটি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াত করেন। অন্য দিনের মতো (১৫ আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যায় মদন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান। এ নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান মুঠোফোন জানান, ‘ খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ি ও চালক মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে। গাড়ির চাবিটি এমনে আসেনি। খালিয়াজুড়ির স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা সমমানের কর্মকর্তা।  তাছাড়া গাড়িটি  অামি সিভিল সার্জন মহোদয় ও খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেই গাড়িটা আমি ব্যবহার করি। মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলা মাত্র ১২ /১৩ কিলোমিটার দূরে থাকায় মাঝে মধ্যে আমি গাড়িটা নিয়ে যাই।  কেন্দুয়া আমার বাড়ি সেখানে আমার চেম্বার। মাঝে মধ্যে রোগী দেখা হয়।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল মাহমুদ মুঠোফোন জানান,’ আমার উপজেলার রাস্তায় ছয় থেকে সাত মাস পানি থাকে। সেই সময়টায় গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখতে হয়। কিন্তু গাড়িটি দিয়ে মদন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যাতায়াত করেন তা আমার জানা নেই। গাড়িটি কিভাবে কেন্দুয়া উপজেলায় গেল সে বিষয়ে গাড়ির চালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া মুঠোফোন জানান, ‘ খালিয়াজুড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। কিন্তু সেই গাড়ি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করার কোন নিয়ম নেই। সরকারি গাড়ি নিয়ে যদি প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে থাকে তাহলে খোঁজ  নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়