মদনে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ !
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ধর্ষণের ব্যর্থ হয়ে এক নারী (৩০) কে মারধর করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারী সুহেল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত সুহেল মিয়া মদন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। রোববার (৩০) এপ্রিল নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করে। অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ওই নারীর স্বামীর ঘনিষ্ট বন্ধু। বন্ধুত্বের সুবাধে ওই নারীর স্বামী ও সুহেল মিয়া প্রতিদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে গাঁজা সেবন করে থাকে। রোববার গাঁজা সেবন করতে বন্ধুর বাড়িতে যায় সুহেল মিয়া। ঘরে বন্ধুর স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সুহেল ওই নারীকে মারধর করলে তার স্বামীসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান,‘সুহেল প্রায় সময়েই আমার ঘরে আসা যাওয়া করে। রোববার রাতে বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রীকে সে কু-প্রস্তাব দেয়। আমার স্ত্রী রাজি না হলে জোর পূর্বক অনৈতিক কাজ করতে চায় সে। এতে বাধা দিলে সুহেল আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গ্রামের মাতাব্বরা বিচারের আশা দিয়েও কোন বিচার করেনি। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত সুহেলকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা আবুল বাশার জানান, মেয়েটির স্বামী ও তার ছেলে হচ্ছে ঘনিষ্ট বন্ধু। তারা দুইজন মিলে প্রতিদিন এক সাথে গাঁজা খায় বিষয়টি শোনেছি। ওই নারীর সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সাথে দ্বন্দ শুরু হয়। গত তিন মাসের মধ্যে সন্তান না হলে স্বামী তাকে তালাক দিবে। সম্ভবত সন্তানের আশায় মেয়েটি ইচ্ছেকৃত ভাবে তার ছেলে সুহেলের সাথে মেলামেশা করতে চাইছিল।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান,‘ এক নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে মারধর করার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।