ভোট পরেছে ২৮.০১% টাঙ্গাইলে তিন উপজেলায় নির্বাচিত হলেন যারা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লে তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্ব স্ব উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলেও প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। ফলাফলে দেখা যায়- তিন উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের শতকরা গড় হার ২৮.০১%। টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা দোয়াত কলম প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজিব উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫০ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহম্মদ সোহেল রানা গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৭ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঊষা আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে ৭৮ হাজার ৬২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পপি গুহ পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৭৬ ভোট। এ উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২৭.৪৬%। দেলদুয়ার উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান মারুফ কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে পুনরায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলি সাদিক টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৪ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মশিউর রহমান তালা প্রতীকে ২১ হাজার ৮৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম এহসানুল হক সুমন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৫৫ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাহিদা সুলতানা পলি পদ্মফুল প্রতীকে ৩২ হাজার ৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিসেস ফিরোজা বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৬ ভোট। এ উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৪.৩১%। নাগরপুর উপজেলায় সাবেক এমপি প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেনের ছেলে কেএম সালমান শামস জিৎ আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুছ ছামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮১৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ফারুক হোসেন তালা প্রতীকে ১০ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ঠান্ডু মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৯৯ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জরিনা বেগম প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৩২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুন্নাহার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০৭ ভোট। এ উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২২.২৬%। এর আগে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। তিন উপজেলার নির্বাচনে ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ূর রহমান জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে তিন জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ প্ল্যাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।