আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের অতিরিক্ত কর্তনকৃত টাকা ফেরত ৩ জানুয়ারি পেয়েছে গ্রাহকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুঞাপুর শাখা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার) খন্দকার রাইসুল আমিন।
২ জানুয়ারি ভূঞাপুর শাখার গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়েছিল। কেটে নেয়ার ক্ষুদেবার্তা (এমএমএস) গ্রাহকদের মোবাইলে চলে আসে। এজন্য গ্রাহকরা টাকা কেটে নেয়ার এমন এসএমএস পেয়ে সোনালী ব্যাংক ভূঞাপুর শাখায় ভিড় করেন । এতে আতঙ্কিত হয় গ্রাহকরা। অনেকেই তাদের একাউন্ট দেখতে ভিড় করেন ।
সরেজমিনে জেলার ভুঞাপুর শাখা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। । জানা গেছে, ভুঞাপুর শাখা সোনালী ব্যাংকে চাকরিজীবিরা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী একাউন্টে প্রতিমাসের বেতনের টাকা থেকে ঋণের টাকা কেটে নেয়া হয়। কিন্তু প্রতিমাসে ঋণের টাকা কেটে নেয়ার পরও একাউন্টে থাকা সবগুলো টাকা একসাথে কেটে নেয়া হয়েছে। তবে একসাথে একাউন্টের সবগুলো টাকা কি কারণে কেটে নেয়া হয়েছে সেটার বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য দেয়া হয়নি। সঞ্চয়ী হিসাব একাউন্টে থাকা গ্রাহকদের সব টাকা কেটে নিয়ে মোবাইলে এসএমএস পাঠনো হয়।
গ্রাহকদের টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়ে ভুঞাপুর শাখা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার) খন্দকার রাইসুল আমিন বলেন, সারা দেশের সোনালী ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের একাউন্ট থেকে কিস্তির টাকা কর্তন করা হয়ে থাকে, সিস্টেম জটিলতার কারণে বেশি টাকা কর্তন হয়েছে। গ্রাহকরা বাড়তি টাকা ফেরত পাবেন।
সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস ঘাটাইলের ডিজিএম আব্দুল্লাহ ফয়সাল বলেন, সিস্টেমের মাধ্যমে একাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। সিস্টেমের সমস্যার কারণে এটা হয়েছে বলে হেড অফিস থেকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বিব্রত অবস্থায় আছি। তবে গ্রাহকদের টাকা আবার ফেরত দেয়া হবে।
সব গ্রাহকের টাকা যথা নিয়মে ফেরত এসেছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুঞাপুর শাখা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার) খন্দকার রাইসুল আমিন। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের হেড অফিসের সিস্টেমে সমস্যার কারণে এই ঘটনাটি ঘটে ছিলো। গ্রাহকদের এই সাময়িক সমস্যা দুঃখ জনক। তবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়।
উল্লেখ্য, গোবিন্দাসী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম কর্তৃক আত্মসাতকৃত ৫ কোটি টাকার কোনো সুরাহা হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.