শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধামকি !

                            ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধামকি ! - সংবাদের আলো

সংবাদের আলো ডেস্ক: নোয়াখালীতে চোরাইকৃত গহণা উদ্ধার না করেই অভিযুক্তদের ছেড়ে দিলো পুলিশ

নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর বারগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার না করেই চোর ও তার সহযোগীদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে ভুক্তভোগী মহিলাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্বর্ণ চুরির অভিযোগ রয়েছে মিয়াপুর এলাকার মোঃ হিরনের রশিদের ছেলে নাইমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ মঞ্জুরা বেগম এবিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের মিয়াপুর এলাকার আবদুল মোতালেবের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম। চলতি মাসের ১ তারিখ ভোর সাড়ে পাঁচটায় বারগাঁও ইউনিয়নের মিয়াপুর এলাকার ওহাব মিজ্ঞা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ৪ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ মঞ্জুরা বেগম ফজরের নামাজ শেষে ঘরের বাইরে যায়। এই সুযোগে অভিযুক্ত নাইম ঘরে ঢোকে। পরে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে ফেলেন মঞ্জুরা বেগম। ঘটনার দিন বিকালে ওই কিশোরকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে সকলের সামনে চুরির বিষয়টি স্বীকার করলেও স্বর্ণ ফিরিয়ে না দেওয়ায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী মঞ্জুরা জানান, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছে চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে অভিযুক্ত নাইম। পরে ২ তারিখ বিকালে নাইমের দেওয়া তথ্যে চুরির ঘটনায় জড়িত মিঞাপুরের লাতু মিয়ার ছেলে শান্ত, ও হেজ্জা ওরফে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। তবে কোন এক অজানা কারণে স্বর্ণ উদ্ধার না করেই চুরির স্বীকারোক্তি দেওয়া নাইম সহ অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ওইদিন দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানার তদন্ত ওসি বকাঝকা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয় যুক্ত করেন ভুক্তভোগী মঞ্জুরা বেগম।

ঘটনার বিষয়ে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত নাইম এলাকাবাসীর সামনে স্বর্ণ চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছিলো। এছাড়া এর আগেও এলাকায় বিভিন্ন চুরির সাথে জড়িত ছিলো নাইম।

চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বাড়িতে গেলে তার বাবা হিরনের রশিদ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার স্বর্ণ চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, শনিবার(১ জুলাই) রাতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরের দিন রবিবার তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মঞ্জুরা বেগমের। মঞ্জুরা বেগম বলেন, “আমার ঘর থেকে স্বর্ণ চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছে সে গ্রামবাসীর সামনে স্বীকারও করেছে। কিন্তু আমি বিচার পাইনাই, থানা থেকে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছে। পরে রফিকুল ইসলাম সোহাগ নামের এক সাংবাদিক আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। বলেছে আমার বিরুদ্ধে নাকি মানহানি ও শিশু নির্যাতনের মামলার করবে। সে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ”

এ ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সোনাইমুড়ী থানার তদন্ত ওসি আহসান হাবিবের সাথে। তিনি বলেন,”অভিযুক্ত নাইম এলাকার ছিচকে চোর, তবে ছেলেটির চেহারা দেখে মনে হয়নি সে স্বর্ণ চুরি করেছে। চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।”

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়