ভিক্ষা দিলেই মামলা, সঙ্গে জরিমানাও
সংবাদের আলো ডেস্ক:ভারতজুড়ে বিভিন্ন শহরের মধ্যে এখন চলছে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার প্রতিযোগিতা। আর এই লড়াইয়ে এগিয়ে আছে দেশটির পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে পরিচিতি ইন্দোর। সেই শহর এখন পরিকল্পনা করছে, শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখার। এজন্য অভিনব এক আইন করতে যাচ্ছে শহর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন বছরের শুরুর দিন, অর্থাৎ এক জানুয়ারি থেকে ইন্দোর জেলা প্রশাসন নতুন এক আইন জারি করতে যাচ্ছেন। ভিক্ষুক দেখা মাত্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যারা ভিক্ষা দেবেন তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হবে। জেলা শাসক আশিষ সিং সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ইন্দোরে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছে। শহরে ভিক্ষার বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রচার চালাবে এই বছরের শেষ দিন পর্যন্ত। নতুন বছরে কার্যকরী হবে নতুন নিয়ম; এসব নিয়ম পালনে কড়াকড়িও আরোপ করা হবে। নগরবাসীকে সতর্ক করে তিনি আরও জানিয়েছেন, এক জানুয়ারি থেকে কেউ ভিক্ষুকদের টাকা দিলে, তাকে পড়তে হবে সমস্যায়। তার বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শহরের সব বাসিন্দাদের তিনি ভিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, ইন্দোর জেলা প্রশাসন শহরের রাস্তাগুলোকে ভিক্ষুকমুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য চলছে কাজ। ভারতের ১০ শহরে এই পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে। শহরগুলো হল-দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দারাবাদ, ইন্দোর, লক্ষ্মৌ, মুম্বাই, নাগপুর, পাটনা এবং আহমেদাবাদ। ইন্দোরে ভিক্ষা বিরোধী প্রচার চালানোর সময় বেশ চমকপ্রদ কিছু তথ্য সামনে এসেছে বলেও দাবি প্রশাসনের। যেমন কোনও ভিক্ষুকের রয়েছে বড় পাকা বাড়ি, কারও ছেলে কাজ করেন ব্যাংকে। কেউ বা অন্য শহরে গিয়ে ওঠেন বিলাসবহুল হোটেলে। ভিক্ষাবৃত্তির নাম শুনলে ভিক্ষুকের দৈন দশার কথাই সাধারণত খেয়াল হয় সকলের। কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি করেও যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া যায়, তাও করে দেখিয়েছেন একজন। মুম্বাইয়ের ভরত জৈন তার সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা। মুম্বাইয়ে ১.৪ কোটি টাকার দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও থানে এলাকায় আরও দু’ টি দোকান রয়েছে। যেখান থেকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা ভাড়া পান।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।