প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১১:৫২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২১, ২০২৪, ২:৩৭ অপরাহ্ণ
ভারতে কী হলো এমপি আনারের
সংবাদের আলো ডেস্ক: ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনারের নিখোঁজ রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ভারতে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিনপরেও তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারছে না দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে।' এমপি আনার কি আদৌ ভারতেই আছেন, নাকি দেশে ফিরেছেন এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। কেননা তার বিরুদ্ধে রয়েছে সোনা চোরাচালান, মাদক কারবার এবং হুন্ডির অভিযোগ। এসব বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তদন্তের আওতায় নিয়েছে। এছাড়াও, নারীঘটিত কোনো বিষয় রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। সর্বশেষ ৪ লাখ ২০ হাজার রুপি নিয়ে এমপি আনারের উধাও হয়ে যাওয়া এবং একটি মেসেজ নিখোঁজের রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছে।'
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আনোয়ারুলের বিষয়ে বিক্ষিপ্তভাবে তথ্য আসতে থাকে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানও চালিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এমপি আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অফিস থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিদেশমন্ত্রকের শাখায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই এমপি কোথায় আছেন তা জানার এবং তাকে উদ্ধার করার জন্যও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। কলকাতাতেও পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে'। এদিকে এমপি আনোয়ারুলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন জানান, গত ১৪ মে থেকে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা খুবই টেনশনে আছি। তবে সব উপায়ে চেষ্টা করছি। বাবা নিখোঁজ থাকার বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাব। এরই মধ্যে আনারের ভাতিজাসহ তিনজনকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আনোয়ারুল আজিম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি ভারতীয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। একটি প্রাইভেট কারে ওঠেন। এরপর থেকেই তার খোঁজ নেই।
আনার পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউন এলাকায় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালেও গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। গোপাল বিশ্বাসকে আনার বলেছিলেন, দুপুরে বাইরে খাবেন। বাসায় ফিরতে রাত হবে। এরপর গোপাল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে যে 'আমি জরুরি কাজে দিল্লি যাব। ২/৩ দিন পর ফিরে এসে যোগাযোগ করব।' পরিবারের সন্দেহ এই বার্তা আনারের লেখা নয়। গোপাল বিশ্বাস এ ব্যাপারে বরানগর থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.