বয়কটের মুখে ব্যবসার ধরন পাল্টাচ্ছে কোকাকোলা
সংবাদের আলো ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সারা বিশ্বে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের জোয়ার বইছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে কোকাকোলা ও পেপসির কোমল পানীয় বয়কটের আন্দোলন বেশ জোরদার। এমন পরিস্থিতিতে বোতলজাতকরণের ব্যবসা থেকে সরে ব্র্যান্ড ভ্যালু ও পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কোকাকোলা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের খবর অনুযায়ী, কোকাকোলার বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি) নামে একটি সংস্থা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গতকাল রোববার (৩০ জুন) এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এতদিন ভারতসহ বিশ্ববাজারে বোতলজাত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল কোকাকোলা। কোকাকোলার একটি নোটের বরাতে আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, ৩০ জুন থেকে বিআইজি বন্ধ হয়ে গেলে ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় এর কার্যক্রম কোকাকোলার অভ্যন্তরীণ বোর্ডের হাতে চলে যাবে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিআইজি। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ওমান ও আফ্রিকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। তবে সম্প্রতি বিআইজির আকার ছোট করার চেষ্টা করছে কোকাকোলা।এমনকি ধীরে ধীরে বোতলজাতকরণ কার্যক্রম থেকে সরে ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি এবং বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিআইজি হিন্দুস্তান কোকাকোলা বেভারেজেরও দেখভাল করে থাকে। হিন্দুস্তান কোকাকোলা সারা ভারতে সাড়ে তিন হাজার পরিবেশকের মাধ্যমে ২৫ লাখ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহ করে। ভারতে তাদের মোট ১৬টি কারখানা ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় তারা।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।