সংবাদের আলো ডেস্ক: জেলা জজ আদালতে তালা দেওয়া ও শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর, দাবি আদায়ে মেহেরপুর ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছে মেহেরপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সময় তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে কয়েকটি পেশাজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে অংশ নেন আড়াই শতাধিক ছাত্র ও পেশাজীবী। এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিম রানা বাধন, যুগ্ম আহ্বায়ক তামিম হাসান, সংগঠক আশিক রাব্বি, মেহেরপুর জেলা তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক দিলারা জাহানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ কর্মসূচি এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকদের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের আলোচনার পর আদালতের মেইন গেট খুলে দেওয়া হয়। অতঃপর মেহেরপুর জেলা প্রশাসন, জেলা ও দায়রা জজ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের আশ্বাসে ছাত্ররা তাদের দাবি পূরণে ১০ সময় বেঁধে দিয়ে, মেহেরপুর ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা করে। এর আগে গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে নতুন করে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা বিতর্কিত -এমন অভিযোগ এনে তাদের নিয়োগ বাতিলের জন্য সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিল তারা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের (জিপি-পিপি শাখা) উপসলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের জন্য পিপি, অ্যাডিশনাল পিপি, এপিপি, জিপি ও এজিপিসহ মোট ২৪ জনকে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.