বেলকুচিতে ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে টিসিবি কার্ড বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টিসিবি কার্ড বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্যক্তির সাথে ফ্যামিলি (টিসিবি) কার্ডের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না। তখন কয়েক জনের সাথে কথা বলার সময় মায়া নামে একজন বলেন আমি মেয়ে মানুষ আমাকে দেওয়া হয়েছে আব্দুর রহমান নামের একটি কার্ড এই কার্ড দিয়ে পূর্বে টিসিবি পন্য নিয়েছি, আজ সকাল থেকে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে থেকে জানতে পারি নতুন কার্ড যাদের আছে তারাই শুধু টিসিবি পণ্য নিতে পারবে। তাহলে আমার নতুন কার্ড কোথার গেল। নাটুগী নামে আর এক জন বলেন আমারও একই সমস্যা এতদিন সরৎ চন্দ্র নামে কার্ড দিয়ে টিসিবি পণ্য নিয়েছি আজ সারাদিন অপেক্ষা করে নতুন কার্ড পেলাম না। পুরনো কার্ডে টিসিবি পণ্য পেলাম না।
এসময় টিসিবি পণ্য নিতে আসা সুবিধাভোগীরা পূর্বের কার্ড জমা দিয়ে নতুন কার্ড চাইলে চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম তাদের লাঞ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করতে বলে জানায় তারা।
এলাকাবাসী বলেন ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম প্রত্যেকের কাছে নতুন কার্ডের বিনিময়ে ৫০০টাকা করে নিয়েছেন। আর যারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাদের কার্ড ইউপি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে টাকার বিনিময়ে অন্য ব্যক্তিদের দিয়েছেন বলে জানান।
এ দিকে সমস্থ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮০টি কার্ড রয়েছে। নিয়মের মধ্যেই পুরনো কার্ড ফেরত নিয়ে নতুন কার্ড দেওয়া হয়েছে। আর আমার নামে যে অভিযোগ উঠেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারো কাছে কোনো টাকা পয়সা দাবি করিনি। আমাকে অযথা হয়রানির জন্য এরকম মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদক ফেরত নেওয়া পুরনো কার্ড দেখতে চাইলে ওই মুহুর্তে চেয়ারম্যান দেখাতে পারবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিসুর রহমান বলেন, একজনের নামধারী কার্ড অন্যজনকে দেওয়ার কোন বিধান নেই। এ ধরনের টিসিবি কার্ড এবং মাল বিতরণের অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।