বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বেলকুচিতে পনের বছরেও উন্নয়ন হয়নি সড়কটির, লক্ষাধিক মানুষের চলাচলে ভোগান্তি

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার সোহাগপুর গরুর হাট হইতে আজুগড়া জামাত মোড় সংযোগ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দেভরা। কোথাও কোথাও সড়কে কার্পেট উঠে মাটি বের হয়েছে গেছে। আবার কোথাও সড়কটি ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সোহাগপুর গরুর হাট এলাকা হইতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের বাড়ি পর্যন্ত চলাচলের জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। ভগ্নদশা এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে পথচারী সহ মোটরসাইকেল, ভুটভুটি, সিএনজি দিয়ে মানুষ যাতাযাত করে ।

আব্দুল মালেক জহুরুল, রিজন, ইলিয়াস, জমের আলী সহ আরো বেশ কয়েকজন পথচারীর সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, এই সড়কটি দিয়ে পৌর এলাকার সোহাগপুর, বেলকুচি সদর, বড়ধূল ইউনিয়ন, মেঘুল্লা, আজুগড়া, এনায়েতপুর ও টাঙ্গাইলের মানুষজন যাতায়াত করে থাকে। সড়কটি ভাঙা থাকার কারণে যানবাহন ঠিকমত যাতাযাত করতে পারে না। প্রায়ই এই সড়কের ভাঙা জায়গাগুলোতে যাত্রীবাহী সিএনজি ও অটোরিকশা উল্টে যাত্রীদের হতাহতে ঘটনা ঘটে। তারা আরো জানান, এই সড়কটি লক্ষাধিক মানুষের যতায়াতের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ হলেও পনের বছরেও কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। যার কারণে চরা অঞ্চলে মানুষের দূর্ভোগটা বেশী লক্ষ্য করা যায়।

বড়ধূল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ জানান, গরুর হাট থেকে জামাত মোড় পর্যন্ত সড়কের এমনই বেহাল দশা যা দিয়ে পথচারীদের হেটে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে গেছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য বেশী দূর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে । চরের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে এ সড়কটি ব্যবহার করে তাদের যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় রোগীবাহী গাড়িও উল্টে পড়ে যাওয়া ঘটনা ঘটে। এমতবস্থায় সড়কটি মেরামত হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

বড়ধূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রায় পনের বছরের বেশী সড়কটির ভগ্নদশা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সড়কটির সংস্কার কাজের ব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সড়কটি আমার ইউনিয়ন বাসীর জন্য সহ কয়েকটি ইউনিয়ের মানুষের অতিগুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সড়কটির দূত মেরামত হওয়া প্রয়োজন।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন জানান, গরুর হাট থেকে আজুগড়া জামাত মোড় সংযোগ সড়কটি মূলত ওয়াপদা সংরসংরক্ষণ বাঁধ হিসাবে নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড । এর পর এই সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় আনা হয়েছে। অনেক বছর সড়কটির কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ার কারণে চলাচলে প্রায় অযোগ্য হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সড়কটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনী নির্দেশনা পেয়ে যাবো।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----