বেলকুচিতে পতাকা হাতে আনন্দ মিছিল
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শেখ হাসিনার পদ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে পতাকা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে আপামর জন সাধারন। রোববার (৫ আগষ্ট) বেলা সাড়ে তিনটা দিকে বেলকুচি পৌর অঞ্চলের মুকুন্দগাঁতি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতি, চালা বাসস্ট্যান্ড সহ আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে মুকুন্দগাঁতি এসে শেষ হয়।
এই মিছিলে বেলকুচি পৌর এলাকা সহ আশপাশের এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।এসময় তারা ‘হৈ হৈ রৈ রৈ শেখ হাসিনা গেল কৈ, ছি ছি হাসিনা লজ্জায় বাঁচি না, শ্লোগানে মুখরিত করে রাখে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী পৌর এলাকার চরচালা গ্রামের বাসিন্দা ইকবার রানা আকাশ জানান, ছাত্র আন্দোলনের ফলে আজ আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আমরা এমন একটি দেশ দেখার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম। আমি মনে করি সৈরাচার হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে তা আমরা পেয়েছি। তাই সেই আনন্দে আনন্দ মিছিল করছি।
চালা গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ হাসান জানান, দীর্ঘ ১৬ বছরে এদেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা ছিল না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ আমাদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছে। এদেশের মানুষ আবারও একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছে। এই স্বাধীনতার পিছনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে আমরা কোনদিন তাদের ভূলব না।
জিধুরী গ্রামের আশরাফ জানান, আজ আনেক বছর পর নিজেকে বড্ড স্বাধীন মনে হচ্ছে। সেই আনন্দে পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। এই বাঁধ ভাঙা আনন্দ মুখে বলে বুঝানো সম্ভব নয়।
চন্দনগাঁতি গ্রামের রাসেল হোসেন জানান, এই স্বাধীনতা জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমার ভাইয়ের রক্তে বিনময়ে সেই স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই আন্দনে মিছিল করছি, সাথে রং খেলায় মেতেছি। পরে মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের একে অপরের গায়ে বিভিন্ন ধরনের রং মাখতে দেখা যায়।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।