উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া চর ও তেয়াঁশিয়া গ্রামের খ্রিস্টান ধর্মপল্লী খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ অঞ্চলের খ্রিস্টধর্মাবলম্বীগণ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বড়দিন পালন করেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া চরের এ'জি চার্চ ও দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াঁশিয়ার খ্রিস্ট ধর্মপল্লীতে গুল্টা মিশনের অধীনে প্রতি বৎসরের ন্যায় ২৫শে ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন পালন করা হয়। গুল্টা মিশনের বুদজী ফাদার কার্লো বলেন, এইদিনে যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে মানুষকে পথ দেখানোর জন্য। মরিয়মের গর্ভে যখন যীশু আসে তখন মরিয়ম ভ্রমণে ছিলেন, ডেলিভারির সময় তবুও তিনি একটি গ্রামে চলে যান। সেখানে তার আত্মীয় স্বজন ছিল কিন্তু তারা বুঝতো না তাকে পরে একটি গুহায় তাকে জন্ম দেন। ঈশ্বর আসছে, মানুষের যায়গায় আসছে, রাজা আসছে কিন্তু তাকে গ্রহণ করেনি। তবে এখানে অনেক রহস্য আছে। তিনি মানুষকে পথ দেখাতে এসেছিলেন। গরীবের মাঝে জন্ম নিয়েছেন, লোভ লালসা ত্যাগ শিখতে এবং মানুষ মানুষে কিভাবে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, বড়দিন উপলক্ষে দেশের সরকার, দেশবাসী এবং সারাবিশ্বের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। আজুগড়া চরের এ'জি চার্চের খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারক জন আজাহার আলী বলেন, যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে মানুষকে পথ দেখানোর জন্য, আমরা তার দেখানো পথেই চলছি। আজকে যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন এদিনটাকেই বড় দিন হিসেবে আমরা খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষরা পালন করে থাকি। ধর্মপল্লীর অন্যান্যরা জানায়, গুল্টা মিশনের অধীনে তেয়াঁশিয়া বিশেষ করে গারো সম্প্রদায়ের মানুষজন বিভিন্ন মালিকের কাজ করে থাকেন তারা বেশিরভাগ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তাদেরকে নিয়ে আমারা এ পল্লীতে বড়দিন পালন করে থাকি। বড়দিনে তাদেরকে সাথে নিয়ে এক সঙ্গে খাবো উৎসব করবো এবং সবশেষে লটারি খেলা হবে। আর এই খেলার মধ্যদিয়ে আমাদের বড়দিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে। এদিকে বড় দিনকে ঘিরে আলোকসজ্জা, প্রার্থনা, সংগীত, ভোজের না আয়োজন করা হয়েছে খ্রিস্টান ধর্ম পল্লীতে। অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষ্যে তেয়াঁশিয়া ধর্ম পল্লীতে হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা ও প্রচার সম্পাদক বিপ্লব শীলসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিতি ছিলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 সংবাদের আলো. All rights reserved.