শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বেলকুচিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘর ভাঙচুর মারধর উচ্ছেদ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ

                            বেলকুচিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘর ভাঙচুর মারধর উচ্ছেদ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ - সংবাদের আলো

উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আজগড়া গ্রামের মৃত আমিন মুন্সির পুত্র মুকুল মুন্সির বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে  একই এলাকার মৃত খাজা আব্দুল জলিলের  পুত্র  খাজা শওকতের সাথে  দ্বন্দ্ব চলে আসছে । এরই জের ধরে গত ১৪ আগস্ট রবিবার রাত্রে খাজা শওকত তার বহিরাগত  সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মুকুল মুন্সির বাড়িতে  অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে  বাড়িঘর ভাঙচুর করে। বাড়িতে অবস্থারত মহিলাদের  মারপিট  করে এবং তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়  শওকতের লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা  জানান, কুজরত মল্লিকের মেয়ে  বুলবুলি বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য  আদালতে  পেনশন করেছেন। পেনশনের বিষয়টি সমাধান হবার আগেই খাজা শওকত তার লোকজন নিয়ে বুলবুলি বেগমের বাড়ির জায়গা দখল করার  চেষ্টায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট  করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, কুজরত মল্লিকের পুত্র শহিদুল মল্লিক মতি মল্লিক মজিদা বেগম  তিনজনের ওরিশানদের অংশের জায়গা ৪ পয়েন্ট ২৫ শতাংশ বিক্রি করে দেয়  খাজা শওকতের কাছে। খাজা  শওকত  উক্ত  জায়গাটি  ওরিশানদের জায়গা গোপনে  কিনে নেয়ার জন্যই এই দন্দের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে  মিমাংশা  না হবার কারনে বাধ্য হয়ে  আদালতের  দারস্ত হইয়ে পেনশন করেন বুলবুলি বেগম । পেনশনের বিষয়টি  আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এরই মাঝে গত  ১৪ আগস্ট রবিবার রাত ৮টায় অতর্কিত ভাবে ২০/২৫ জনের   একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে দেশিও অস্ত্র নিয়ে বুলবুলি বেগমের  বাড়িতে ঢুকে এলোপাতারি মারপিট ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা শুরু করে । এসময়  তাদের  ডাকাডাকি চিৎকারে  স্থানীয়রা  এগিয়ে এলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় শওকতের লোকজন ।  উল্লেখ্য  শওকত  এলাকার প্রভাবশালী  হবার কারনে  তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে  সাহস পায় না  এমনকি থানা পুলিশকে প্রভাব খাটিয়ে  নিজের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে  বলেও অভিযোগ  রয়েছে।

এবিষয়ে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান প্রতিবেদককে  জানান, ১৪ আগস্ট রাতে আজগড়া বুলবুলি বেগমের  বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো  এবং  ১৫ তারিখে আবারো  হামলার অভিযোগ  পেয়ে  পুলিশ পাঠানো হয়েছে । এ বিষয়ে তদন্ত চলছে পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা  হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়