উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছর বয়সি এক কিশোরী। গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ১৫ জুলাই শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হচ্ছে, বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ের শোলাকুড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে ইব্রাহিম (২৫), সুলতানের ছেলে নাঈম (২২), মৃত হয়রত আলীর ছেলে মমিন (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাবা রিকশাচালক এবং মা গৃহীনি। গত ১৪ জুলাই রাতে কিশোরী ঘর থেকে হাত মুখ ধুতে বাইরে বের হলে। এ সময় বাড়ির ভিতরে ওতপেতে থাকা ইব্রাহিম কিশোরীর মুখ জোরপূর্বক ধরে ৭০০ গজ দুরে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে যায়। ওই কিশোরী ওই ঘরে নাঈম ও মমিনকে দেখতে পায়। সেখানে প্রথমে ইব্রাহিম পরে নাঈম ও মমিন তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের পর কিশোরীকে হাত মুখ বেধেঁ কিশোরীর বাড়ির পাশে একটা ব্রিজের নিচে ফেলে দেই। পরে কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে ব্রিজের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.