বেলকুচিতে ঈদকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে তাঁত পল্লী
উজ্জ্বল অধিকারী: পবিত্র ঈদ -উল -ফিতর কে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে তাঁত কুঞ্জ খ্যাত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত পল্লীগুলো। কাঁক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এ অঞ্চলের তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই।
এই ব্যস্ততা শুধু পুরুষের নয়। নারীরাও পুরুষদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব কাজে সহযোগীতা করছেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার তাঁত প্রধান তামাই, শেরনগর, চন্দনগাঁতি রান্ধুনী বাড়ি এলাকায় অবস্থিত কারখানায় মালিক ও শ্রমিকরা শাড়ি, লুঙ্গী ও থ্রি পিচ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে । বসে নেই নারীরাও। পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে নলীভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙ তুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননের কাজেও সহযোগিতা করছে ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা।
নলিতে সুতা ভরা, সুতাপারি করা, মাড় দেয়া ও রঙতুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননে সহযোগিতা করছেন। জালাল হোসেন সহ একাধিক তাঁত শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় । আগে দিনে ৭-৮ ঘন্টা কাজ করলেও এখন ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করছেন । এতে তাদের আয়ও বেড়েছে। ঈদে নিজের ও পরিবারের চাহিদাকে ঘিরে বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে মূলত অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের কাজের সমস্যা হলেও তা মানিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে তাঁত কারখায় শ্রম দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শ্রমিকেরা।
সোয়ান লুঙ্গীর স্বত্বাধিকারি বাবু সরকার জানান, সারা বছর যেমন তেমন আমরা তাঁতের ব্যবসায়ী রয়েছি তারা ঈদ ও পূজাকে ঘিরে আশায় থাকি ভালো ব্যবসা হবে। সেই অনুপাতে তাঁতিরা কাপড় উৎপাদন করে থাকে। এবছরও তারই ধারাবাহিকতায় আশা রাখছি যে ঈদে ভালো একটা ব্যবসা হবে। আমরা কিছুটুকুও হলেও লাভের মুখ দেখবো। তবে এখনো ভালো কিছু বুঝতেছি না। সামনে আরো দিন রয়েছে দেখা যাক কি হয়। আশা করি কেনা বেচা ভালোই হবে।
জ্যোতি শাড়ি ঘরের স্বত্বাধিকারী বৈদ্য নাথ রায় জানান, রোজার বেশ কয়েকটা চলে গেলেও এখনো কাপড়ের বাজার খুব একটা সন্তোষ জনক না। তবে সামনে আরো কয়েকদিন রয়েছে। আশা করছি ঈদ কে ঘিরে আমরা যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম তা পূর্ণ হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।