বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতি: আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ, ৭টি অবৈধ পাসপোর্টের সন্ধান
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট করতে নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছেন এমন অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এজন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সংস্থাটি।’ মঙ্গলবার (২৫ জুন’) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক ওই কর্মকর্তাদের পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, এদের মধ্যে তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে তা আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সব ম্যানেজ করেন বেনজীর। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা। বানিয়ে নেন সাধারণ পাসপোর্ট।
আরও জানা গেছে, সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি। এদিকে, বেনজীরকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এমনকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে তলব করলে তারাও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।