বিয়ের ১২ দিন পর স্বামী জানতে পারেন স্ত্রী ছেলে
সংবাদের আলো ডেস্ক: বিয়ের পর বোধহয় জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক যুবক। বিয়ের ১২ দিনের মাথায় জানতে পারেন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আসলে নারী নয় ছেলে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের তথ্য মতে, ভুক্তভোগী ওই ইন্দোনেশীয় যুবকের নাম ‘একে’। ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারী রূপী যুবক কানজার সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তারা সরাসরি দেখাও করেন। একে জানান, যখনই তারা কোথাও দেখা করতেন কানজা সবসময় মুসলিম রীতি অনুযায়ী নিজেকে পর্দার ভেতর রাখতেন। এমনকি চেহারাও সম্পূর্ণভাবে ঢাকা থাকতো। ফলে তিনি কখনোই কানজার আসল চেহারা দেখতে পারেননি। কিন্তু তিনি কখনও সন্দেহও করেননি।
ভেবেছিলেন, ওই নারী হয়তো অত্যন্ত ধর্মভীরু। এরপর তারা চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বিয়ে করেন। বিয়ের আগে কানজা তার হবু স্বামীকে বলেন, বিয়েতে যোগ দেয়ার মতো তার পরিবারে কেউ নেই। একের দাবি, বিয়ের পর শারীরিক ঘনিষ্ঠতার চেষ্টা করলে, মাসিকের কথা বলে কানজা তা এড়িয়ে গেছেন। বিয়ের ১২ দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়গুলো তদন্তের সিদ্ধান্ত নেন এবং জানতে পারেন, কানজার বাবা-মা বেঁচে আছেন এবং তারা এই বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এরপর ঘটনা পুলিশকে জানালে, তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, কানজার প্রকৃত নাম ‘ঈশ’। তিনি ২০২০ সাল থেকে নারীদের মতো বেশ ধরে থাকেন। তিনি মূলত টাকা পয়সা লুটের উদ্দেশে এসব করেছেন। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির কথা-বার্তা শুনে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই যে তিনি একজন পুরুষ। দেশটির আইন অনুযায়ী, কানজার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এতে তার ৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।