বিয়েতে রাজি না হওয়ায় খুন হন ব্যবসায়ী
সংবাদের আলো ডেস্ক:চাকরির জন্য এক ব্যক্তির মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের (৪৬) সঙ্গে পরিচয় হয় সাবিনা আক্তারের (২৫)। পরিচয়ের একপর্যায়ে দুজন জড়িয়ে পড়েন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি সাবিনাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন নজরুল। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি কিংবা বিয়ে কোনোটার বিষয়েই কথা রাখেননি নজরুল। বিয়ের কথা বললেই সাবিনাকে এড়িয়ে যেতেন তিনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুরুষাঙ্গ কেটে নজরুলকে হত্যা করেন সাবিনা।
রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত শনিবার সাবিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। গতকাল রোববার এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যশোরের বাঘার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাবিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর চকবাজারের পোস্তার আরনডি রোডের ৬৬/১ নম্বর এশিয়া টাওয়ারের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় ভাই তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস।পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাবিনা আক্তারকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার সাবিনা।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার প্রায় এক মাস আগে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চাকরির জন্য নজরুলের সঙ্গে সাবিনার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকায় নজরুল ইসলাম সাবিনা আক্তারকে ২ ডিসেম্বর রাতে বাসায় ডেকে নেন। সাবিনা নজরুল ইসলামের বাসায় রাতে অবস্থান করেন। এ সময় চাকরি ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাবিনা ক্ষিপ্ত হয়ে ভোর ৫টার দিকে নজরুল ইসলামকে শিল দিয়ে মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত করেন ও মুখে বালিশ চাপা দেন। এ সময় নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেন সাবিনা।
গ্রেপ্তার সাবিনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।