বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বিসিবিকে পাঁচ ক্রিকেটারের জার্সি নম্বর তুলে রাখার পরামর্শ হান্নানের

সংবাদের আলো ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের নাম নিলেই যে পাঁচটি নাম সবচেয়ে বেশি আসবে তারা হলেন, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সময় এসেছিল। এই পাঁচ তারকাকে অনেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে থাকেন। কোনো বৈশ্বিক শিরোপা উপহার দিতে না পারলেও তাদের সেরা সময়ে বাংলাদেশ সমীহ জাগানো দলে পরিণত হয়েছিল।

তবে তারা সবাই এখন কোনো না কোনো ফরম্যাটে সাবেক খেলোয়াড়, কেউবা আবার জাতীয় দলের বাইরে। দ্রুতই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অতীত হয়ে যাবেন ‘পঞ্চপাণ্ডব’ খ্যাত এই তারকারা। হয়তোবা বছর খানেকের মধ্যে কাউকে কাউকে আর বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে না। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এরই মধ্যে সাবেক হয়ে গেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুধু ওয়ানডে খেলছেন। সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল আছেন জাতীয় দলের বাইরে। শুধু মুশফিকুর রহিমই টেস্ট ও ওয়ানডেতে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন। আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরেই হয়ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় চার তারকার আনুষ্ঠানিক বিদায় হবে।

দেশের ক্রিকেটের প্রতি তাদের অবদানের জন্য এই পাঁচ তারকার সম্মানে অবসরের পর তাদের জার্সি নম্বর তুলে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার। বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে ৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দিয়ে নিজের এ ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

হান্নান বলেন, ‘আমার একটা ইচ্ছা যে এমনটা করা যায় কি না। এটা আসলে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যারা রয়েছেন, বোর্ডের সঙ্গে রয়েছেন, সবাই মিলে চিন্তা করতে পারি, এটা আমার ব্যক্তিগতভাবে নিজের জায়গা থেকে চিন্তা করা। এই পাঁচজনের জার্সি নম্বরটা তাদের অর্জনকে মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে রেখে দিতে পারি। এই জার্সি নম্বরগুলো হয়তোবা বাংলাদেশের নতুন কোনো ক্রিকেটারকে না দিয়ে তুলে রেখে দিলাম।’

সাকিব-তামিমদের প্রশংসা করে হান্নান বলেন, ‘আমরা যদি দেখি মিডিয়া বা সবার মধ্যে একটা হাইপ আপনাদের মাধ্যমে জানা যে ‘পঞ্চপাণ্ডব’। এই পঞ্চপাণ্ডব শব্দটা কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে সবার কাছে পরিচিত। এই পাঁচজনকে উল্লেখ করেই কিন্তু আলোচনাটা এখানে চলে আসে। এই পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা করলে একটা কথাও কিন্তু চলে আসে এবং সেটা হলো এদের অর্জন কী। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে আইসিসি ইভেন্ট বা বড় কোনো ট্রফি হয়তো পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে সবার অনেক অর্জন রয়েছে। এটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করি। (সাকিব) আমাদের বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সবার মধ্যে ছিল। তামিম, রিয়াদ কত রান করেছে, সেগুলো আর নতুন করে বলার কিছু নেই।’ বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে হান্নান বলেন, ‘এই (তরুণ) খেলোয়াড়দের অনেকেই সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিক-রিয়াদকে দেখে বড় হয়েছে। তাদের আদর্শ হিসেবে চিন্তা করেই বড় হয়েছে। এই চিন্তা থেকে কখনো হয়তো অনেকের স্বপ্ন জেগেছে, আমি যখন সাকিব ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার হব, তখন তার (সাকিব) ৭৫ নম্বর জার্সি পরে খেলব। মাশরাফির মতো হলে ২ নম্বর পরে খেলব। তামিম হলে ২৮, মাহমুদউল্লাহ হলে বা আমাদের যে খেলোয়াড়েরা এই পাঁচজনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করছি, তাদের আদর্শ মেনেই বড় হয়েছে অথবা তাদের জার্সি নাম্বার গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছে।’

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়