বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেফতার ১
সংবাদের আলো ডেস্ক:পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বহিরাগতের হামলা ও দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ রিশাদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববারে কলেজের একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বহিরাগত কিশোর গ্যাং সদস্য আলভি, তাবজিল, হানিফ ও রিশাদ এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। তাৎক্ষনিক বিষয়টির প্রতিবাদ করে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা অভিযুক্তদের কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সোমবার কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন বহিরাগত হামলা চালায় এবং তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন ও জহিরুল ইসলাম আহত হন। এঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর দায়েরকৃত মামলায় রিশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারের আগে বিকেলেই রিশাদকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সন্ধ্যায় আটক রিশাদের সাথে থানায় দেখা করতে আসে সোহাগ রানা নামের এক যুবলীগ কর্মী। তখন তাকে দেখে ধাওয়া দিয়ে মারধর করে সেখানে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আলভি, হানিফ, তাবজিল ও রিশাদ ‘কমরেড’ নামের একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। এরআগেও একাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ আছে এই কিশোর গ্যাং গ্রুপটির বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতার দাপটে এই কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেননি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। গত মে মাসে তন্ময় নামের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মামলা করলেও নেতাদের চাপে তুলে নিতে বাধ্য হয়। এদিকে গ্রেফতার কিশোর গ্যাং সদস্য রিশাদের মায়ের দাবি, তার ছেলে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত না। গতকাল কলেজে হামলার সময়েও তার ছেলে উপস্থিত ছিলো না। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, কালাইয়া কলেজের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।