বাঞ্ছারামপুর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
বাঞ্ছারামপুর (ব্রামণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুনায়েদ সরকার ফাহাদ (শিথিল) (১৫) এর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিথিলের সহপাঠী, বন্ধু ও স্কুল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুরের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত সিথিলের মামার একাধিক বিবাহ ও মামলার ঘটনায় প্রতিবেশী মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। এরই জেরধরে, শুক্রবার মধ্যরাতে মহিউদ্দন ও তার লোকজন নিয়ে সিথিলের নানীর বাড়ির স্বজনদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপাতে থাকে।
এতে সিথিল, শহীদ শিকদার, রহমতা মেম্বার, ময়না আক্তার, শফিকুল ইসলাম, হাসেম মিয়া সহ মোট ৯ জন আহত হয়। ঘটনার পরপরই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পেরণ করা হলে ওইদিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিথিল মৃত্যুবরণ করেন। বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, শিথিল একজন মেধাবী স্টুডেন্ট। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, শিথিল বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। শিথিলকে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার বন্ধুরা আমাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি অপরাধী যদি অপরাধী হয়ে থাকে সে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।