শুক্রবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বাজেট নিয়ে মাঠ গরম করতে চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগের এটি প্রথম বাজেট। এই বাজেট নিয়ে এখন নানামুখী আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বাজেটকে বাস্তবধর্মী, নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণের বাজেট হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা নানারকম বক্তৃতা বিবৃতি দিচ্ছেন। আজ বিকেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বাজেটকে বাস্তব ভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত এবং সাম্প্রতিক সময়ে সংকট মোকাবেলার জন্য কার্যকর বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে সিপিডিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক গ্রুপগুলো বাজেটের নানা বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।তারা কিছু কিছু বিষয়ের সমালোচনাও করছে। তবে বিএনপি ঢালাও ভাবে এই বাজেটের সমালোচনা করে এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এই বাজেটের ফলে দুর্নীতি বাড়বে বলে মনে করছে দলটি। তবে শুধুমাত্র বক্তৃতা বিবৃতির মধ্যেই নয়, বিএনপি বাজেটকে ঘিরে আন্দোলনের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাইছে।’ বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাজেট নিয়ে নানা মহলের প্রাথমিক যে প্রতিক্রিয়া, তাতে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন রাজনৈতিক দলই এবারের বাজেটকে সমর্থন দেয়নি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যারা নির্বাচন করেছে সেই দলগুলোও বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছে।জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ-এর হাসানুল হক ইনু এই বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করছেন। বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলেও বিএনপির ওই নেতা মনে করেন। আর এই সব প্রেক্ষিতেই বাজেটকে ঘিরে বিএনপি একটি বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা যায় কিনা সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। বিশেষ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরতাল ডাকা এবং বাজেটের প্রতিবাদে সমাবেশ করার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে’। বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা বাজেটের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছি।

আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। প্রতিক্রিয়ার পর আমরা এই অগ্রহণযোগ্য বাজেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। তবে আন্দোলনে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।’ তবে বিএনপির অন্য একজন নেতা বলেছেন, শুধু বাজেট নয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে একসাথে বাজেটোত্তর সময়ে একটি আন্দোলনের পটভূমি রচিত হয়েছে। এখন বিএনপি এই ইস্যুগুলোতে আন্দোলন করতে চায়।

তবে বাজেট উত্থাপনের পরপরই দেশ ঈদের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশ মোটামুটি ছুটিতেই থাকবে। আগামী ২৯ বা ৩০ তারিখে বাজেট এবং অর্থ বিল পাশ হতে পারে। এরপরই বিএনপি হরতালের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছে। বাজেট নিয়ে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা যায় কি না সে নিয়ে বিএনপি কথা বলবে বলে জানা গেছে। আগামী দু একদিনের মধ্যে স্পষ্ট হবে বাজেট নিয়ে বিএনপি কীভাবে আন্দোলন করবে এবং কতদূর সেই আন্দোলনের সীমানা বিস্তৃত হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়