সংবাদের আলো ডেস্ক: বরগুনার আমতলীতে স্বামী জাহিদুল ঘরামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী নাসরিন বেগম স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩০ জুন) গভীর রাতে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামী জাহিদুলের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ স্ত্রী নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামীর ছেলে জাহিদুল ঘরামীর (২৮) সাথে পটুয়াখালীর গেরাখালী গ্রামের বাসিন্দা নাসরিন বেগমের (২০) বিয়ে হয়। তাদের একটি ৭ মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জাহিদুল এক নারীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। গেলো জানুয়ারী মাসে গোপনে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। স্বামী জাহিদুল প্রথম স্ত্রীকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ দেয়। এতে রাজি হয়নি নাসরিন। ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামী জাহিদুল স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছে।
রবিবার গভীর রাতে স্ত্রী নাসরিন বেগম ধারালো দা দিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। এ সময় জাহিদুলের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে তারা রক্তাক্ত জাহিদুলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাতেই স্ত্রী নাসরিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
জাহিদুলের বাবা আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামী বলেন, আমার ছেলের এই করুণ পরিণতির জন্য ছেলের বউ নাসরিন দায়ী। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করছি। স্ত্রী নাসরিন বেগমের অভিযোগ, তার স্বামীর ৬ মাস পূর্বে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে তাকে চাপ প্রয়োগ করছিলো। মেনে না নেওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাচন করেছে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে স্ত্রী নাসরিনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.