নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের জলপাইগুড়ি, সিকিমসহ উত্তরের জেলাগুলোতে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। এ বৃষ্টিপাতের ফলে ফুঁসে উঠছে তিস্তা, জলঢাকাসহ অন্যান্য সীমান্তঘেষা নদীগুলো। দ্রুত পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে গজল ডোবা তিস্তা ব্যারাজেও। আর এতেই তিস্তার দু’পাড়ে রেড এলার্ট জারি করেছে ভারত সেচ দপ্তর। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে চলবে ভারি বৃষ্টিপাত। শনিবার রাত থেকেই তার সাক্ষী হয়েছে জলপাইগুড়িসহ সিকিম এবং উত্তরের জেলাগুলো।অবিরাম বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পাহাড় থেকে নেমে আসছে বিশাল জলস্রোত সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সমতলের বৃষ্টির পানি। আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৬ মিলিমিটার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত ভারতের মেখলিগঞ্জ শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর দু’পাশে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
হঠাৎ এই ভারি বর্ষণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সাসহ ডুয়ার্সের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লিস, ঘিস, নেওরার মতো খরস্রোতা নদীগুলো। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উত্তরের জেলা গুলোতেও। ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের উত্তরের জেলাগুলোর নদ-নদীর পানি। এদিকে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৩০ জুন') সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও রংপুরের নদ-নদীগুলোতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
এরই মধ্যে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া বৃদ্ধি নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এদিকে পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায়, শনিবার (২৯ জুন) রাত থেকে রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর অঞ্চলে ৩৬৯ মি.লি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ১৯০, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩০ এবং নীলফামারীতে ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.