প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে: ইসি আলমগীর
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে- তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে বিদেশী কোন চাপ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, উল্টো আমরাই বিভিন্ন স্থানে চাপ প্রয়োগ করছি। নির্বাচনে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৮২জন পর্যবেক্ষক ও ৪৬জন সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল- আমরা বলেছি। এ মুহুর্তে কোন সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। তারপরেও যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়- সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছু করি না কেন- তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।
ইউএনও এবং ওসিদের বদলীর বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে সংলাপ করেছেন। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল- সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছেন। সরকারের অনুকূলে তারা কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে- এটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল। সভায় ইসি আলমগীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা রিনি, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।