বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিদিন একমুঠো চিনাবাদাম, প্রোটিন-ভিটামিন-খনিজে ভরপুর

সংবাদের আলো ডেস্ক: পুষ্টিগুণের হিসেবে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা পেস্তাবাদাম সবার পছন্দের খাবারের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকলেও চিনাবাদাম পুষ্টিগুণে কিন্তু পিছিয়ে নেই। সাধারণত সিনেমা হলে মুভি দেখতে দেখতে কিংবা পার্কে প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বা সবাই মিলে আড্ডার জায়গায় সবার পছন্দের শীর্ষে বাদাম খাওয়া। এখন অবশ্য সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘পপকর্ন’।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিনা বাদামে যে ধরনের উপাদান রয়েছে, তা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো।

বাদাম খেলে যে উপকার পেতে পারেন–

মাছ, মাংস, ডিম খান না, এমন অনেকেই প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে বাদাম খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাদাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ৭ থেকে ১০ গ্রাম বাদামে যে পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তা একটি ডিমের সমান।

হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে:

চিনাবাদামে যে ধরনের চর্বি থাকে, তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চিনাবাদাম হৃদস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চিনাবাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ করে। আমাদের শরীরে অনেক সময় ছোট ছোট আকারে রক্ত জমাট বাঁধে, এগুলো রোধ করে চিনাবাদাম এবং আপনার হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বাদামে থাকা মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হজমে সহায়ক:

বাদামে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে। তাছাড়া নিয়মিত একমুঠো বাদাম খেলে হজমের সমস্যা হবে না। ভাল হজম হলে বিপাকহারের উপর প্রভাবিত করে। বাদাম রক্তে ইনসুলিন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার মতো কোনো সমস্যা হয় না।

ভিটামিন এবং খনিজ:

চিনাবাদাম ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িত অনেক পদার্থের নিঃসরণে সহায়তা করে। এ ছাড়াও, পুষ্টিবিদরা স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চিনাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে

অনেকে মনে করেন বাদাম খেলে শরীরের মেদ বাড়ে। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। চিনাবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ কিন্তু ক্যালোরি কম
ক্যানসার প্রতিরোধ করেগবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি নিয়মিত চিনাবাদাম খেতেন, তাঁদের একধরনের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। তার নাম হলো গ্যাস্ট্রিক কার্ডিয়া অ্যাডেনোকার্সিনোমা। এ ছাড়া চিনাবাদামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

কতটুকু খাবেন:

একমুঠ পরিমাণ চিনাবাদাম খেলেই যথেষ্ট। এটি আপনাকে ১৭০ ক্যালরি সরবরাহ করবে। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪২ গ্রাম বা ১৬ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। তবে উচ্চরক্তচাপ বা অন্য কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

সতর্কতা:

চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও সবাই এটি খেতে পারে না। চিনাবাদাম খেলে মাঝেমধ্যে অ্যালার্জি, চুলকানি, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা যায়। চিনাবাদাম বা যেকোনো বাদাম খাওয়ার পর যদি কোনো অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি হয়, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়