সোমবার, ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পূর্ণিমা ধর্ষণ: প্রবাস থেকে ফিরে ২৩ বছর পর গ্রেপ্তার যাবজ্জীবনের আসামি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার আলোচিত স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা রানী শীল ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে ঘটনার ২৩ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার পূর্বদেলুয়ার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান। গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম (৪২) ওই গ্রামের জিল্লুর রহমান ওরফে বেলালের ছেলে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতার জের ধরে ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামের অনিল চন্দ্র শীলের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী পূর্ণিমা রাণী শীল (১২) গণধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর তাকে একটি কচুক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। ওই সময় তার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং তার মা-বাবা ও ভাইকেও মারধর করা হয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত হয়। উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, জহুরুল ইসলাম ঘটনার পরই মালয়েশিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। তিন-চার মাস আগে তিনি দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিলেন। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার রাতে বাড়িতে আসেন। গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর পূর্ণিমার বাবা মামলা করেন। তদন্তের পর পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এক আসামিকে মামলা থেকে রেহাই পায়। ২০১১ সালের ৪ মে আদালত ১০ আসামির সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে আলতাফ হোসেন, আব্দুল জলিল, লিটন, আব্দুর রউফ, আব্দুল আলিম, হোসেন আলী ও ইয়াছিন আলী নামে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হন জহুরুল ইসলাম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাবলু ও আব্দুল মোমিন এখনও পলাতক। আসামিরা সবাই উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়