প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ৫:১৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৭, ২০২৪, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
পাবনায় সাত বছরের শিশুকে মোটরসাইকেলে বেড়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
সংবাদের আলো ডেস্ক: পাবনার ঈশ্বরদীতে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাবু (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৭ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারী শাকরিগাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাবু (৪৫) উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী শাকরিগাড়ী গ্রামের মৃত মনসুর আলী মোল্লার ছেলে। ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কন্যর মা একজন কর্মজীবি মহিলা। তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাবু (৪৫) মোটরসাইকেলে বেড়ানোর লোভ দেখিয়ে শাকরিগারী গ্রামের স্যান্ডেল ফ্যাক্টরির ভিতরে নিয়ে গিয়ে কন্যা শিশুটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সিরাজুল ভুক্তভোগী যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ার প্রায় ৫-৬ জন বাচ্চাদের মোটরসাইকেলে চড়িয়ে ঘুরান। পরে সব বাচ্চাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে ভুক্তভোগী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে। তখন সিরাজুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ভুক্তভোগী শিশু কন্যার কান্নার কারন জানতে গিয়ে বুঝতে পারেন মেয়েটি সঙ্গে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মা ফিরে আসলে ভুক্তভোগী শিশু কন্যার থেকে ঘটনা জানতে পারেন। তখন সে বাড়ীওয়ালা সিরাজুলের বড় ভাই আসাদুলের নিকট এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।
তখন আসাদুল ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগীর মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঐ রাতেই বাড়ী থেকে বের করে দেন। তখন ভুক্তভোগীর মা বাধ্য হয়ে ঐ রাতেই শিশু কন্যাকে নিয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেড গেট এলাকায় নতুন বাসা ভাড়া নিতে যান। বাসা ঠিক হলে মেয়েকে ঐ বাসায় রেখে পুরাতন বাসা থেকে মালামাল নিতে যান। মায়ের আসতে দেরি হওয়ায় মেয়েটি বাসা থেকে বের হয়ে ইপিজেড গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে রূপপুর পুলিশ ফাড়িতে দিয়ে আসেন। তখন রূপপুর পুলিশ সদস্যরা মেয়েটির থেকে সাকরিগাড়ী বাসার ঠিকানা জানতে পেরে আসাদুলের স্ত্রীর কাছে দিয়ে আসেন। কারন সেসময় ভুক্তভোগীর মা মালামাল নিয়ে নতুন বাসায় গিয়েছিল।
এবিষয়ে আসাদুলের স্ত্রী জানান, রূপপুর ফাঁড়ির পুলিশ মেয়েটিকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে জিজ্ঞাসা করেন বাচ্চাটিকে চিনেন নাকি। তখন মেয়েটি দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে। তখন পুলিশ মেয়েটিকে আমার জিম্মায় রেখে চলে যায়। ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। বাড়িওয়ালা আসাদুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার ভাই সিরাজুল কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আপনি ঘটনাটিকে একটু বেশি পেচাচ্ছেন বলে ফোন কেটে দেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে এসেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 সংবাদের আলো. All rights reserved.