বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পর্তুগালকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

সংবাদের আলো ডেস্ক: ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে পর্তুগিজদের পরাজিত করেছে ফরাসিরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোন গোল না হওয়ায় খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। তবে ১২০ মিনিটেও কোন সুবিধা করতে পারেনি দুই দলের কেউ। ফলে, ট্রাইবেকারে গড়ায় ম্যাচ। আর তাতে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স।এদিকে অতিরিক্ত সময়ের শেষ ১৫ মিনিট আগে মাঠ ছাড়েন দলের প্রাণ ভোমরা কিলিয়ান এমবাপ্পে। সতীর্থরা যখন একেকটি গোল দিচ্ছেন, এমবাপ্পে তখন হামবুর্গে উদযাপনে মত্ত। অন্য দিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে জড়িয়ে শিশুর মতো কাঁদছিলেন বুড়ো পেপে। দুজনেরই যে শেষ ইউরো। ফ্রান্সের ওসমান ডেম্বেলে ও পর্তুগালের রোনালদো প্রথম শটে গোল এনে দেন। দ্বিতীয়টিও ভুল হয়নি কারো। তৃতীয় শটে জোয়াও ফেলিক্স মিস করে বসেন। এটাই কাল হয় পর্তুগীজদের। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রথম দুটির মতো পরের তিন শটই লক্ষ্যভেদ করে। ব্যবধান ২ গোল হয়ে যাওয়ায় শেষ শটটি আর নিতে হয়নি পর্তুগালকে।১০ জুলাই রাত ১টায় সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই নিয়ে ২০১৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৫টি বড় আসরের (বিশ্বকাপ-ইউরো) ৪টিতেই সেমিফাইনাল খেলে ফ্রান্স। ২০২০ সালের ইউরোতে বিদায় নিতে হয় শেষ ষোলো থেকে। এমন কীর্তি আর কোনো ইউরোপিয়ান দলের নেই। পর্তুগাল ২০২২ বিশ্বকাপের পর এবার ইউরোতেও কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। অথচ ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল তাদের। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বেশ। ম্যাচের ৬০ শতাংশ সময় বল ছিল রোনালদোদের পায়ে।শেষ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিল পর্তুগাল। নুনো মেন্ডেস মেরে দেন গোলরোক্ষরের হাতে। রোনালদোও পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। কিন্তু তার পায়ের ছোঁয়া পেয়ে বল চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ফিনিশিংয়ের অভাবে ভুগতে হয় পর্তুগীজদের। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। এমবাপ্পেরা ২৫টি শট নেন। অন-টার্গেট ছিল ৫টি। অন্যদিকে ১৯টি শট নেওয়া পর্তুগালের অনটার্গেট শট ৪টি।গ্রুপপর্বের তিন ও নক আউট পর্বের দুই টোটাল ৫টি ম্যাচ খেলেছে ফ্রান্স। মিনিটের হিসেবে ৫ ম্যাচে ৪৫০ মিনিট সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। মোট ৪৮০ মিনিট খেলেও সরাসরি ১টি গোলও দিতে পারেনি কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স। পেনাল্টি ও টাইব্রেকার ছাড়া সরাসরি একটি গোলও করতে পারেনি দলটি। একটি ম্যাচ ড্র ও আরেকটি ম্যাচ এমবাপ্পের পেনাল্টি থেকে। আর শেষ টাইব্রেকারে। তবুও শেষ চারের একটি দল হিসেবে নাম লিখিয়েছে ফরাসিরা। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। ফাইনালের আগে দেখা যাবে আরেক ফাইনাল। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট জার্মানিকে বিদায় করে সেমিতে যায় স্পেন। এবার দেখা যাক ফ্রান্সের গোলের অপেক্ষা পুরায় কী না।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়