বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস

সংবাদের আলো ডেস্ক: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য সংস্থটির গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন থেকে আর থাকবে না। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

ফেসবুকে সারজিস আলম লেখেন, এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে৷ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ৷ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে CEO হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ৷

গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে ৷ যেখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ ৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, ICT)৷ ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই ৷সংবাদের আলো পাঠকের জন্য সারজিস আলমের পোস্টটি তুলে ধরা হলো-‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই৷ এই ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে৷ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে৷ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে CEO হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে৷ ‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে৷ যেখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ ৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, ICT)৷ ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই৷ এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে৷ আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ২১ অক্টোবর ৷ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন আমি দায়িত্ব পালন করি৷ এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি৷ ফাইনালি আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারী হস্তান্তর হয় এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি৷ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফাইড ৮২৬ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়৷ পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফাইড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়৷ যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি৷ যখন মনে হয়েছে- এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে না, তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি৷ আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা এড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে৷ আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সাথে সৎ থাকতে।’

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়